দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ৪ সেনা, ১৮ শিশু ও ২ নারী সহ মোট ৯৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর এ ঘটনায় চট্টগ্রামে ২৭ জন এবং বান্দরবানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব জি এম আব্দুল কাদের মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ১২৪ জনের লাশ উদ্ধারের খবর তারা পেয়েছেন।
এর মধ্যে রাঙামাটিতে ৮৮ জন, চট্টগ্রামে ৩০ জন এবং বান্দরবানে ছয়জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য এসেছে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার থেকে দেশের দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে চলছে ভারি বৃষ্টিপাত। পাহাড়ি ঢলে সোমবার রাতে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়লে চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটি ও বান্দরবানসহ কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে বৃষ্টির পানিতে মাটি সরে গিয়ে তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ে ধস নামে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেলেও অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি সেনা ক্যাম্পের কাছে পাহাড় ধসের ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে ফের ধসে নিহত হয়েছেন দুই কর্মকর্তাসহ চার সেনা সদস্য।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।